শনিবার ৩ মে ২০২৫ - ২২:৫৫
ইমাম খোমেনি (রহ.) কোম থেকে ইসলামী সভ্যতার চিন্তাধারা প্রসারিত করেছেন

হাওজায়ে ইলমিয়ার মহাপরিচালক আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি বলেছেন, ইমাম খোমেনি (রহ.) ইসলামি সভ্যতার চিন্তাধারা কোমের ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র থেকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক অগ্রগামী নেতৃত্ব।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: তেহরানের মেয়রের সঙ্গে এক বৈঠকে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, “সভ্যতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ হচ্ছে— জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি কুরআন, ইসলামী জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে এমন একটি চিন্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা সমাজের সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম।”

তিনি বলেন, “তেহরান, কোম ও মাশহাদ এমন মহানগরী যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলামি আদর্শ শহর হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য এসব শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা, নাগরিক সেবা ও সংস্কৃতি হবে বিশ্বমানের।”

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি সভ্যতামূলক চিন্তার মূল স্তম্ভ হিসেবে ইমামত ও ওলায়েতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই দর্শন পাশ্চাত্য চিন্তাধারার সঙ্গে মৌলিকভাবে ভিন্ন, এবং এটি ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।”

তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে বলেন, “শেখ বাহাই ইস্পাহানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আধ্যাত্মিকতা একত্রিত করে এমন এক স্থাপত্য গড়েছিলেন, যার নিদর্শন এখনও চাহারবাগ মাদ্রাসায় বিদ্যমান। আমাদের শহরগুলোকেও এমন জ্ঞানের ও দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণে গড়া উচিত।”

তিনি বলেন, “এই ঘাটতি পূরণে হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। শহর উন্নয়নে ইসলামি মূল্যবোধ ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে প্রয়োজন গবেষণা ও গভীর অধ্যয়ন।”

রাজধানী স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তেহরানের সমস্যাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বদলে এ শহরের ভেতরেই সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজন সরকার, পৌরসভা ও বিভিন্ন বিভাগের সম্মিলিত প্রয়াস।”

তেহরান পৌরসভার রূপান্তর পরিকল্পনা

বৈঠকের শেষভাগে তেহরানের মেয়র ড. আলীরেজা জাকানি বলেন, “জীবনধারার পরিবর্তন, প্রযুক্তিনির্ভর নগর ব্যবস্থাপনা, ন্যায়ের ভিত্তিতে নাগরিক সেবা, মসজিদকেন্দ্রিক কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে তেহরানকে একটি মডেল নগরীতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha